রাজশাহীতে এমপি মিতার হাত থেকে ‘প্রকৃত শীতার্ত’ পাচ্ছে শীতবস্ত্র

রাজশাহীতে এমপি মিতার হাত থেকে ‘প্রকৃত শীতার্ত’ পাচ্ছে শীতবস্ত্র
সাগর নোমাণী, রাজশাহীঃ হাড়কাঁপানো শীত পড়েছে উত্তরবঙ্গ তথা রাজশাহী অঞ্চলজুড়ে। আর এই শীতে সরকার থেকেও বিতরণ হচ্ছে শীতবস্ত্র। কিন্তু প্রকৃতরা দুস্থ ও শীতার্ত মানুষেরা এসব শীতবস্ত্র থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, ঘুড়ে-ফিরে পাচ্ছেন প্রায় একই শ্রেণির মানুষগুলো। বাদ পড়া এসব বঞ্চিত হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দলের নেতা-কর্মীদের দ্বারা খোঁজ খবর নিয়ে তালিকা তৈরী করে তাদের শীতবস্ত্র পোঁছে দিয়েছেন রাজশাহী সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ও বাংলাদেশ আওয়ামী মহিলা যুবলীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এ্যাড. আদিবা আনজুম মিতা। 
শক্রবার (০৮ জানুয়ারি) সকল ১০ টায় নগরীর ৪ নং ওয়ার্ডের কেশবপুর এলাকায় নিজ বাসভবনে দুস্থ অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন এমপি মিতা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর ও রুয়েটের অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মুফতি মাহমুদ রনি।
সূত্র জানায়, ইতোপূর্বে গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ী ইউনিয়নের দেলসাদপুর গ্রামে ১০০ জন, রাজশাহী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিম্নশ্রেণির ১৫টি স্টাফ ও প্রেমতলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ জন স্টাফকে শীতবস্ত্র প্রদান করেন। 
এমপি’র ব্যক্তিগত সহকারী রাজু বলেন, ‘আগামীকালও তিনি গোদাগাড়ী ও কাকনহাট পৌরসভা থেকে প্রাপ্ত ১০০ জন শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করবেন। মূলত এসব শীতবস্ত্রের বন্দোবস্ত করেছেন  তার বন্ধু-বান্ধবদের আর্থিক সহযোগিতায় ও নিজ অর্থায়নে। এরমধ্যে মাত্র ৫০টি কম্বল ও ৫০টি সাল পেয়েছেন ডিসি অফিস থেকে।’
তালিকা তৈরী করে খুঁজে  প্রকৃত গরীব শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের বিষয়ে জানতে চাইলে এমপি এ্যাড. আদিবা আনজুম মিতা বলেন, ‘বেশীরভাগ সময়ই দেখা গেছে সরকার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রদেয় শীতবস্ত্রগুলি ঘুরে-ফিরে ওই একই লোকজনের মাঝে দেয়া হচ্ছে। অনেকে তা বাজারে গিয়ে বিক্রিও করে দিচ্ছেন। তাই দলের মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সহায়তায় প্রকৃত অসহায়দের খুঁজে তাদের তালিকা তৈরী করে শীত নিবারণের ব্যবস্থা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অসহায় শীতার্তদের মাঝে সামান্য গরমের উষ্মতা দিতে পারাটাও স্বার্থকতা এবং বড় পাওয়া। এতে প্রচন্ড আত্মিক তৃপ্তি মেলে। যতটা সম্ভব আগামী দিনগুলিতেও আমার এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ।’