ক্ষমা চাইতে খালেদার সাবেক পিএসকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

ক্ষমা চাইতে খালেদার সাবেক পিএসকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

যুক্তরাষ্ট্র সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গুজব ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক একান্ত সচিব (পিএস) মোহাম্মদ সামছুল আলমের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাকে বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে, অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) মোহাম্মদ সামছুল আলমের স্থায়ী ঠিকানা শরীয়তপুরে ও বর্তমান ঠিকানা নিউইয়র্কে এ নোটিশ পাঠানো হয়।

আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট শওকত আলী পাটোয়ারি তুহিন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ওমর ফারুক (আসিফ) এর মাধ্যমে এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, আপনি (সামছুল আলম) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চরম ঘৃণ্য, ঔদ্ধত্যপূর্ণ, অরুচিকর, মিথ্যা ও সম্পূর্ণ বানোয়াট কথা ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন। এর মাধ্যমে আপনি বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। এ লেখা গোটা বাংলাদেশের মানুষের প্রতি অবমাননাকর। এ বক্তব্যে বাংলাদের মানুষ আপনার ওপর ক্ষিপ্ত ও বিক্ষুব্ধ। রাষ্ট্রবিরোধী এ ঔদ্ধত্যপূর্ণ স্ট্যাটাস বাংলাদেশের সব মানুষ এবং আওয়ামী লীগের প্রতিটি কর্মীকে আঘাত করেছে।

এতে বেগম জিয়ার সাবেক এ একান্ত সচিবের উদ্দেশে আরও বলা হয়, আপনার এ বক্তব্য চরম ঘৃণ্য, ঔদ্ধত্যপূর্ণ, অরুচিকর, মিথ্যা ও সম্পূর্ণ বানোয়াট। এ বক্তব্য ফেসবুকে আপলোড করায় আপনি রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০০৮ এর ধারাসমূহের অপরাধ এবং অন্যান্য ফৌজদারি আইনের অপরাধ করেছেন।

‘এ নোটিশ পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আপনি আপনার উল্লেখিত ফেসবুক আইডিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা না করলে আপনার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও দেওয়ানি অধিক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’- নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

নোটিশে মোহাম্মদ সামছুল আলমের ফেসবুকের স্ট্যাটাস ও এটির লিংক তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, আপনি ১৭/৯/২১ তারিখে লিখেছেন- “৩২টি কালো সুটকেস নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের একটি ৭৭৭ এয়ারক্রাফটে হেলসিঙ্কি এয়ারপোর্টে আজ বিকেলে ল্যান্ড করেছেন বুয়া। স্যুটকেসগুলি ডিপ্লোমেটিক সুবিধা ব্যবহার করে খালাস করা হয়েছে। তবে এগুলোয় বৈদেশিক মুদ্রা আছে বলে সফরসঙ্গীদের মধ্যে গুজব। ইউরোপের মধ্যে সড়ক ও রেল যোগাযোগ থাকায় যেকোনো দেশেই স্যুটকেসগুলো নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ ৭৭৭ এয়ারক্রাফটি ওখানে পার্ক করা থাকবে। স্মরণযোগ্য তার বাপও একই কাজ করেছিল। ১৯ তারিখে হেলসিঙ্কি থেকে নিউইয়র্ক যাবেন। হেলসিঙ্কিতে হোটেল ক্যাম্প (Hotel KEMP) হোটেলে উঠেছেন। এটি ফিনল্যান্ডের সবচেয়ে দামি হোটেল। এর সবচেয়ে ওপরের দু’টি তলার সবগুলো রুম (৬০টি) বুক করা হয়েছে।

যদিও বলা হয়েছে ভাগ্নের বাসায় বেড়াতে এসেছেন, যে কিনা কিছুদিন আগে রাগ করে এখানে চলে এসেছে কোনো রাজনৈতিক পদ না পেয়ে। কিন্তু আদতে জন্ম হয়েছে দামি হোটেল, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে একটি ৭৭৭ এয়ারক্রাফট আটকে রাখা এবং ৩২ স্যুটকেস ভর্তি ডলার পাচারের কাহিনি।

বিষয়টা হলো, আশরাফ গানি ডলার ভর্তি করে হেলিকপ্টারে পার হতে পারলেও নিউইয়র্ক সফর শেষ করার পরে হয়তবা আর এভাবে ডলার স্যুটকেস পার করার সুযোগ নাও পেতে পারেন, তাই এভাবে প্লান করতে হয়েছে বলে সূত্র জানায়।”

সূত্রঃ বিডি সমাচার২৪