৫২'র একুশের চেতনা ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে অনুপ্রেরণা দেয়: মোঃ ইদ্রিস ফরাজী

সিনিয়র রিপোর্টার, ঢাকাঃ

৫২'র একুশের চেতনা ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে অনুপ্রেরণা দেয়: মোঃ ইদ্রিস ফরাজী
ছবি: সংগৃহীত

ইতালি:

২০২১ সাল বাঙালি জাতির জন্য অনেক বড় একটি প্রাপ্তির বছর হতে যাচ্ছে। কেন প্রাপ্তির বছর, সেই প্রশ্নের অনেক উত্তর আছে। তবে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি বলতে চাই তা হচ্ছে—২০২১ সাল স্বাধীনতার সুর্বণ জয়ন্তী। বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম করবে। আজকের এই বাংলাদেশের একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনার অবদান আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ইতোমধ্যে তিনি গণতন্ত্র, স্বাস্থ্য ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন এবং দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে সৌভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন খেতাব আর সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। মর্যাদাপূর্ণ অসংখ্য পদক, পুরস্কার ও স্বীকৃতির পালক এখন শেখ হাসিনার মুকুটে একের পর এক যুক্ত হচ্ছে।


ইতালি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ ইদ্রিস ফরাজী মুঠোফোনে এসব কথা বলেন।


মোঃ ইদ্রিস ফরাজী আরও বলেন, প্রথমেই যদি এই একুশ নিয়ে বলতে হয় তাহলে এই একুশ ছিল ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের ২১শে ফেব্রুয়ারি। এই একুশ থেকে শুরু করে আমাদের যে পরবর্তী অর্জনে এই একুশের একটি বলিষ্ঠ ভূমিকা আছে। একুশ আমাদেরকে শিখিয়েছে কোনভাবেই আমাদের মাথা নোয়াবার নয়, কোন কিছু পাওয়ার জন্য বাঙালি শেষ রক্ত পর্যন্ত দান করতে প্রস্তুত। একুশ আমাদের অধিকার আদায়ের প্রতিচ্ছবি মাত্র। একটা একুশ আমাদের মাঝে এসেছিল, এই ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই আমাদের ১৯৬৬তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯'এর গণ অভ্যুত্থান, ৭০'এ নির্বাচন এবং ৭১'এ আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১৯৫২ থেকে শুরু করে ১৯৭১ পর্যন্ত যে ভূমিকা ছিল তার কারণেই আমরা এই বিশ্বের মানচিত্রে একটা স্বাধীন দেশ হিসেবে পরিচয় পেয়েছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর রক্তের দামে কেনা স্বাধীন বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে কাজ শুরু করেন মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। পাশাপাশি শুরু হয় স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্রও। স্বাধীনতা বিরোধীচক্র রাজনীতির অঙ্গনে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মূল্যবোধকে প্রশ্নবোধক করার জন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে থাকে। স্বাধীনতাবিরোধীদের সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ওরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সুযোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করে। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ বাঙ্গালি জাতির ভাগ্যাকাশে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। আজ এতো ঘটনা হয়ে যাওয়ার পরেও ২০০৮ সালে অষ্টম জাতীয় নির্বাচনের ইশতেহারে আওয়ামী লীগ প্রথম রূপকল্প ২০২১ বা ‘ভিশন ২০২১’ এর ঘোষণা দিয়েছিল। নতুন প্রজন্মের কাছে তা ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপরেখা, যা ২০২১ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারিত ছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখতেন সেই স্বপ্ন আজ বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে তাঁর জাদুকরি নেতৃত্বে। শত বাধা-বিপত্তি এবং হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা ভাত-ভোট এবং সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অবিচল থেকে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ অর্জন করেছে গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা। বাংলাদেশ পেয়েছে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা। শেখ হাসিনার অপরিসীম আত্মত্যাগের ফলেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। সামাজিক কর্মকাণ্ড, শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য শেখ হাসিনাকে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা সম্মানিত করেছে।