২৫ মার্চের গণহত্যা সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মোঃ ইদ্রিস ফরাজী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকাঃ

২৫ মার্চের গণহত্যা সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মোঃ ইদ্রিস ফরাজী
ছবি: সংগৃহীত

ইতালী প্রতিনিধিঃ
বাঙ্গালির জীবনে একটি দুঃসপ্নের কালো রাত। এই রাতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী শুরু করে অপারেশন সার্চলাইট নামের গণহত্যাযজ্ঞ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ২৫ মার্চের এই গণহত্যাকে স্মরণ করে বার্তা দিয়েছেন ইতালী আওয়ামী লীগের সভাপতি, শরিয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ ইদ্রিস ফরাজী।

মোঃ ইদ্রিস ফরাজী বলেছেন, ২৫-এ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন প্রকৃতার্থে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মাহুতির প্রতি জাতির চিরন্তন শ্রদ্ধার স্মারক এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নারকীয় হত্যাকান্ডের সাক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।


মোঃ ইদ্রিস ফরাজী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধসমূহ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩ প্রণয়ন করেছিলেন। সেই আইনের আওতায় অনেকের বিচার সম্পন্ন হয়েছিল।

মোঃ ইদ্রিস ফরাজী বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা বিশ্বের জঘন্যতম গণহত্যাগুলোর অন্যতম। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব বাংলার ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকেরা বাঙালিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায়।

মোঃ ইদ্রিস ফরাজী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। ৭ই মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা স্বাধীনতার ডাক দিয়ে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।’

মোঃ ইদ্রিস ফরাজী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৭ এর ২০ এ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ ২৫-এ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। এর আগে একই বছরের ১১ই মার্চ মহান জাতীয় সংসদে এ দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।