যারা ইসলামকে ভালোবাসে না তারাই মূলত এই ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে: মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী

সিনিয়র রিপোর্টার, ঢাকাঃ

যারা ইসলামকে ভালোবাসে না তারাই মূলত এই ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে: মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ইতালী আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী বলেছেন, আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে আমরা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী একসাথে পালন করছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ দুনিয়ায় এসেছে, বাংলাদেশ থাকবে, কেউ একে ধ্বংস করতে পারবে না।’ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।’ অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশা পূরণ করার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলেছেন শেখ হাসিনা। আর এজন্যই উৎসবে বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন দিনে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্বনেতৃবৃন্দ এদেশের অগ্রগতি নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আমাদের ঢাকা শহর অনেক সুন্দর করে সেজেছে। কিন্তু কিছু মুষ্টিমেয় লোক এই সৌন্দর্যটাকে মেনে নেইনি। আমাদের এই সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে যখন অতিথি হয়ে আসলো তখন তার আসাকে ‘উছিলা’ বানিয়ে মূলত হেফাজতে ইসলাম তাদের পেশীশক্তির জোর দেখাতে চেয়েছিল। দেশের কয়েকটি স্থানে হেফাজতে ইসলাম নামের এই সন্ত্রাসী সংগঠনের সমর্থকরা রীতিমতো রণক্ষেত্র বানিয়ে ফেলেছে। তিন দিনের সংঘাত-সংঘর্ষে চট্টগ্রামের হাটহাজারী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কয়েক জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সাংবাদিক, পুলিশসহ আহত হয়েছেন অনেকেই। হেফাজতে ইসলাম এবং কিছু বামপন্থি সংগঠন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে প্রতিবাদের নামে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ায় দেশে শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করতে চেয়েছিল। তাদের আসলে গাত্র দাহ হয়, যেমনটি হয়েছিল ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ভাষণে কিছু মুষ্টিমেয় লোক এই ঐতিহাসিক ভাষণকে মেনে নিতে পারে নি। তারা এর বিরুদ্ধে মিছিল করেছিল, তারা আসলে বাংলাদেশকে চায়নি। এই গোষ্ঠীটির প্রেতাত্মারা এখনো রয়ে গেছে। তাদের আসলে প্রেম হচ্ছে পাকিস্তানের পতাকার প্রতি। যারা ইসলামকে ভালোবাসে না তারাই মূলত এই ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে। এখনি সময় এসেছে এদের প্রতিহত করার।