যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের জন্মদিনে ইতালী আওয়ামী লীগের শুভেচ্ছা 

সিনিয়র রিপোর্টার, ঢাকাঃ

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের জন্মদিনে ইতালী আওয়ামী লীগের শুভেচ্ছা 
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র, রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গভীর আস্থা-বিশ্বাস ও স্নেহাসিক্ত, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক – বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি’র সুযোগ্য সন্তান, সারা বাংলার যুব সমাজের প্রাণের স্পন্দন, যুব সমাজের আইকন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সম্মানিত চেয়ারম্যান, সংশপ্তক যুবনেতা, অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশের শুভ জন্মদিন আজ৷

এক শুভেচ্ছা বার্তায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের জন্মদিনে ইতালী আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ইতালী আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইদ্রিস ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল। 

ইতালী আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইদ্রিস ফরাজী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ ফজলুল হক মনির সুযোগ্য সন্তান যখন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের বৈঠা ধরেছেন তখন তারা পেয়ে গেছেন যোগ্য নেতৃত্ব। যার ফলে শুধু কেন্দ্র নয় ওর্য়াড পর্যায়েরও যুবলীগ সংগবদ্ধ ও সুসংগঠিত হতে চলেছে। তাই তার জন্মদিন এর শুভক্ষণে তার জন্য রইল দোয়া ও শুভকামনা এবং আওয়ামী যুবলীগকে শক্তিশালি করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য।

ইতালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল বলেন, এই আনন্দঘন মাহেন্দ্রক্ষণে প্রত্যাশা মননশীল, বিচক্ষণ, সুমানবিক ও সুদৃঢ় নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন তেজোদৃপ্ত নেতৃত্বের আলোকচ্ছটায় প্রস্ফুটিত হোক বাংলার যুব সমাজ। পরশে সুবাসিত ও সুসংগঠিত হোক ইতিহাসের অগ্নি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ যুব সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী আদর্শে ও রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় দেশ ও জাতির কল্যাণে আপনার আগামীর পথচলা মসৃণ। পরিবারের সকল সদস্যের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাবা শেখ মনি ও মা আরজু মণিকে চিরতরে হারান পরশ। তখন তার বয়স মাত্র ৬। ছোট ভাই তাপস মাত্র ৪ বছরের শিশু। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দুর্বিষহ জীবন কাটাতে হয় পরশ-তাপসকে। কখনও আত্মীয়দের বাসায় লুকিয়ে থাকতে হয়েছে, কখনো বা পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। এভাবে দুই বছর কাটার পর ১৯৭৮ সালে তারা ভারতে চলে যান। শেখ আছিয়া বেগম তাদের ভারতে নিয়ে যান। চাচা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ ফজলুর রহমান মারুফ, ফুপু শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা তারাও তখন বিদেশে শরণার্থী।

শেখ পরিবারের উত্তরাধিকারী পরশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরে কলরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর করে দীর্ঘদিন শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয় সংস্কৃতিমনা পরশ গান বাজনার প্রতিও বেশ সৌখিন।