আ.লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন মোহন

সিনিয়র রিপোর্টার, ঢাকাঃ

আ.লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন মোহন
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আজ ২৩ জুন । ৭২ বছরে পা রাখছে প্রাচীন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৯৪৯ সালের এই দিনে পুরান ঢাকার কে এম দাস লেন রোডের রোজ গার্ডেন প্যালেসে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এই রাজনৈতিক দলটি। প্রতিষ্ঠার পর স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনসহ স্বাধীন বাংলাদেশের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে এই দলের নাম। সুদীর্ঘ রাজনীতি এবং আন্দোলন-সংগ্রামের গৌরবের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধারণকারী সংগঠনটির পথপরিক্রমা এখনো চলমান। মাঝে অবশ্য বহু চড়াই-উতরাই আর বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হয়েছে দেশে সবচে বেশি মেয়াদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে। দলটির যেমন বড় বড় সফলতা রয়েছে।

এ দিকে দিবসটি উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন মোহন এক বার্তা পাঠিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের অগণিত নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীসহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।  বাঙালি জাতির প্রতিটি মহৎ, শুভ ও কল্যাণকর অর্জনে আওয়ামী লীগের ভূমিকা রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে আমরা আজ আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি।
আওয়ামী লীগ দল হিসেবেও মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সাখাওয়াত হোসেন মোহন বলেন, ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ, উন্নত ও আধুনিক সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে প্রিয় বাংলাদেশ।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ নামে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি রাজনৈতিক দল। প্রতিষ্ঠাকালে আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং তরুণ নেতা শামসুল হক ছিলেন প্রথম সাধারণ সম্পাদক। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন কারারুদ্ধ অবস্থায়। কারাগারে থেকেও নিজ যোগ্যতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞাবলে দলটির যুগ্ম সম্পাদক মনোনীত হন তিনি। পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। পরে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয়া হয়। দলের নাম রাখা হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’। সময়ের পরিক্রমায় আওয়ামী লীগ হিসেবে পরিচিতি পায় দলটি। আওয়ামী লীগ নামের সংগঠনটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে তিলে তিলে গড়ে ওঠা একটি প্রতিষ্ঠান। এই দলের জন্য তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন, তবু দলকে ছেড়ে যাননি। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের যে আন্দোলন শুরু, তা এখনো চলমান বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতি সামলানোর চলমান লড়াইয়ের মাধ্যমে। কখনোই কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না দলটির পথ। বারবার তারা ধ্বংস্তূপ থেকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে ফিনিক্স পাখির মতো।