বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন জাপান আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসিম উদ্দিন প্রধান

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করলেন জাপান আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসিম উদ্দিন প্রধান
ছবি: সংগৃহীত
নাসিম আহমেদ রিয়াদ, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে জীবনের কিছু ঘটনার স্মৃতিচারণ করেছেন জাপান আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোয়ন প্রত্যাশী কচুয়ার কৃতি সন্তান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসিম উদ্দিন প্রধানের। মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসার আপসহীন অবস্থানের কথা তুলে ধরে ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসিম উদ্দিন প্রধান বলেন, ‘‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সময় বঙ্গমাতাকে যখন তারা বেডরুম থেকে নিয়ে আসছিল এবং সিঁড়ির কাছে এসে যখন বঙ্গবন্ধুর লাশ দেখছিলেন, তখন ঘাতকদের তিনি বলেছিলেন, ‘আমাকে এখানেই মেরে ফেলো। আমি আর কোথাও যাবো না।’ মৃত্যুর মুখে পড়লে মানুষ স্বাভাবিকভাবে বাঁচার চেষ্টা করেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি বঙ্গমাতার ভালোবাসার নিদর্শন তিনি মৃত্যুর সময়ও দেখিয়ে গেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর মতো মৃত্যুকে ভয় পাননি। খুনিদের কাছে জীবন ভিক্ষা চাননি। আদর্শের ব্যাপারে আপস করেননি। এটাই বঙ্গবন্ধু, এটাই বঙ্গমাতা। এটাই বঙ্গবন্ধুর পরিবার। তারা নীতিতে অবিচল, আদর্শে অটল।’’
বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘মহামানব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গরিবের হক আদায়ের ব্যাপারে ছিলেন দৃঢ়চিত্ত। মমত্ববোধও তাঁর হৃদয়ে ছিল বিশাল সমুদ্র সমান। সেই ঘটনার ছাপ আজও আমার জীবনে অম্লান। বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে জয় করে ফেলেছিলেন। বাংলার মানুষও সবকিছু উজাড় করে দিয়ে তাঁকে ভালো বেসেছিলেন।’
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসিম উদ্দিন প্রধান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর প্রত্যেকটি পদক্ষেপই শিক্ষণীয়। আইনের শাসনের প্রতি তাঁর ছিল অগাধ বিশ্বাস। আদালতের প্রতি ছিল গভীর আস্থা। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তাঁর ছিল দৃঢ়তা। নিজের অভিজ্ঞতার উপলব্ধি দিয়ে বুঝেছিলেন মানুষের দুর্দশা লাঘবের শেষ আশ্রয়স্থল হচ্ছে আদালত। এ কারণে তিনি বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দিয়ে সংবিধানে স্থান দিয়েছিলেন। জনগণের যাতে দুর্ভোগ পোহাতে না হয়, তার জন্য তিনি সংবিধানে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণের কথা বলেছেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের স্বাধীনতার কথা নিশ্চিত করে গিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেই স্বাধীনতা ও পৃথকীকরণ স্বপ্নই রয়ে গিয়েছিল। মাজদার হোসেনের রায়ের পথ ধরে ২০০০ সালে বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ হয়। কিন্তু পৃথক অবকাঠামো না থাকায় তা সম্পূর্ণ কার্যকর হতে পারেনি। বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার সারা বাংলাদেশে ভবন নির্মাণ, বেতন বৃদ্ধি, গাড়ি সরবরাহ করে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ অর্থবহ করেছেন। জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ সুগম করেছেন।’