বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের দেশি-বিদেশি কুশীলবদের বিচারের আওতায় আনা হবে: মোঃ ইদ্রিস ফরাজী

সিনিয়র রিপোর্টার, ঢাকাঃ

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের দেশি-বিদেশি কুশীলবদের বিচারের আওতায় আনা হবে: মোঃ ইদ্রিস ফরাজী
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ইতালী আওয়ামী লীগের সভাপতি, শরিয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ ইদ্রিস ফরাজী বলেন, ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট একই সূত্রে গাথা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের নিহত সদস্য এবং জাতীয় চার নেতা এবং ২০০৪ সালে একুশে আগস্ট  ২১ আগস্টে আইভি রহমানসহ সকল শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের শ্রদ্ধা রেখে আমি আমার বক্তব্য শুরু করছি।  জননেত্রী শেখ হাসিনার সৎ সাহস এবং যে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে গত ৪০ বছর ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।  প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধু আমাদের অনুভূতি ও অন্তরাত্মায় মিশে আছেন। শেখ মুজিব মানেই বাংলাদেশ। শেখ মুজিব মানেই বাঙালির মৃত্যুঞ্জয়ী চেতনা। শেখ মুজিব মানেই সাম্য-অধিকার-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। শেখ মুজিব মানেই দেশের জনগণের প্রতি মানুষের প্রতি ভালোবাসা। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি উত্থাপন, ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং সর্বশেষ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তৈরি ও নেতৃত্বদানের মাধ্যমে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্যকে ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হন। এটাই সত্য যে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভেনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থলে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিচালিত ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা ছিল মূলত পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে পরিচালিত ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরণ পরিকল্পনার একটি অংশমাত্র। এই উদ্দেশ্যেই ঘাতকরা ১৫ আগস্ট শুধু বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে হামলা করে ক্ষান্ত হয়নি, তারা তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় শেখ ফজলুল হক মনি ও আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাড়িতেও একই সময়ে হামলা করে সেখানেও নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালায়। ঘটনাচক্রে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সেদিন প্রাণে বেঁচে যান। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আমি প্রত্যাশা করছি যে, সরকার সামনে দ্রুতই  স্বাধীন কমিশনটি গঠনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের দেশি-বিদেশি কুশীলবদের জাতির সামনে উন্মোচন করে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনবে।