জাপান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো: জসীম উদ্দিন প্রধানের জন্মদিনে মিলাদ মহফিল ও বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠিত

জাপান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো: জসীম উদ্দিন প্রধানের জন্মদিনে মিলাদ মহফিল ও বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠিত
ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ইঞ্জিনিয়ার মো: জসীম উদ্দিন প্রধানের ৫৫ তম শুভ জন্মদিন আজ। প্রতিবছরের মত তাহার অনুসারীরা, সমর্থক ও নিকটতম লোকদের কেক কাটা ও নানান আয়োজনের প্রস্তুতি থাকলও হঠাৎ করে ইঞ্জিনিয়ার মো: জসীম উদ্দিন প্রধানের পিতা জনাব আলহাজ্ব মো: আব্দুছ ছাত্তার প্রধান ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার কারনে, তিনি জাপান থেকে সকল আয়োজন বন্ধ করে শুধু মসজিদে মসজিদে মিলাদ ও দোয়ার ব্যবস্হা করার অনুরোধ জানান। তাই জাপান টোকিও, ঢাকা বনশ্রী জামে মসজিদ সহ চাঁদপুর কচুয়ায় ১২ টি ইউনিয়ন, পৌরসভাসহ তার নিজ এলাকা ২ নং পাথৈর ইউনিয়ন মালিগাও জামে মসজিদে জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মুনাজাত করা হয় এবং তাহার বাবার সুস্হতা কামনা করা হয় এবং রাস্তার পশে দিয়ে বনজ ফলজ বৃক্ষরোপণ করা হয়।
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা পাথৈর ইউনিয়নের মালিগাঁও গ্রামের এক সম্ভান্ত্র মুসলিম পরিবারে ১৯৬৫ সালের ১৫ই নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র জাপান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিন। তাঁর পিতার নাম আলহাজ্ব মো: আব্দুস সাত্তার প্রধান। তাঁর পিতা আব্দুস সাত্তার প্রধান সমাজের গুণী ব্যক্তিদের মধ্যে  অন্যতম একজন। চার ভাই ও চার বোন এর সংসারে ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিন ছিলেন দ্বিতীয় তবে চার ভাইয়ের মধ্যে ছিলেন তিনি সবার বড়। ছোট বেলা থেকেই ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিন ছিলেন দুরন্ত ও মেধাবী। স্কুল জীবন থেকেই তিনি ছিলেন খুব মেধাবী একজন ছাত্র।
খেলাধুলার প্রতিও তাঁর আগ্রহ কম ছিলো না। একজন ভালো খেলোয়াড় হিসাবেও এলাকায় তাঁর ব্যাপক পরিচিত ছিলো। পাশাপাশি ছাত্র জীবনে বিভিন্ন মঞ্চ নাটকে ছিল বিভিন্ন চরিত্রে তাঁর অভিনয়। যার জন্য গ্রামের সকলের মানুষের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন পরিচিত এক মুখ। স্কুল জীবনে থেকেই তিনি ছিলেন রাজনীতিতে সক্রিয়।
তিনি ১৯৭৫ সালে কচুয়া উপজেলার মধুপুর প্রাইমারি স্কুল থেকে সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৭৬ সালে চশই হাই স্কুলে ভর্তি হন। সেখান থেকে উত্তীর্ণ হয়ে ২নং পাথৈর ইউনিয়নের তৎকালিন বারৈায়ারা জুনিয়র হাই  স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৭৮ সালে তিনি বারৈায়ারা স্কুল থেকে ৮ম শ্রেণি পাস করে ১৯৭৯ সালে মতলব উপজেলার কাচিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ১৯৮১ সালে কাচিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে লেটার মার্ক নিয়ে কুমিল্লা বোর্ড থেকে ১ম বিভাগে মাধ্যমিক গন্ডি পার করেন।
মাধ্যমিক এর গন্ডি পেরিয়ে তিনি ১৯৮১ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হন। পড়াশুনার পাশাপাশি তিনি রাজনীতিতে ছিলেন নিয়মিত। পড়াশোনার পাশাপাশি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিন। কুমিল্লা বোর্ড থেকে  উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ১ম বিভাগে উত্তীর্ন  হন।
সেখান থেকে ১৯৮৩ সালে তিনি তৎকালিন শহীদ সামছুল হক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন। সেখানেও থেমে থাকেনি তাঁর রাজনীতি। পড়াশুনার পাশাপাশি তিনি শহীদ সামছুল হক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। বেশ কিছু দিন দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর তাঁর রাজনৈতিক দুরদর্শিতার কারনে অল্প দিনের মধ্যেই তিনি শহীদ সামছুল হক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পান। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই কলেজের ছাত্রদেরদের সকল ন্যায় সংগতি পূর্ণ দাবি আদায়ের পেছনে তাঁর ভূমিকা ছিলো অতুলনীয়। দলীয় কর্মকান্ড ও তাঁর ভূমিকা ছিলো ব্যাপক। আস্তে আস্তে তাঁর রাজনৈতিক দুরদর্শিতার কারনে পুরো কলেজে সে হয়ে ওঠে একজন জনপ্রিয় ছাত্রনেতা। তাঁর কর্মদক্ষতা দিয়ে জয় করে নেন কলেজের সকল ছাত্রছাত্রীদের মন। সবার কাছে তিনি পরিচিত হন অসহায়দের বন্ধু হিসাবে। ১৯৮৬ সালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ঢাকা বোর্ড থেকে  মেধা তালিকায় ১ম বিভাগে  উত্তীর্ণ হয়ে পরে।
উচ্চতর পড়াশুনার জন্য তিনি ১৯৮৭ সালে টোকিও জাপানের একটি ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। ১৯৯২ সালে তিনি জাপান টোকিও ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা শেষ করেন। সেখানেও থেমে নেই তাঁর রাজনীতি। ১৯৮৯ সাল থেকে তিনি জাপান আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত হন। ২০১৪ সালে সাবেক বানিজ্য মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অবঃ) ফারুক খানের অনুমোদিত জাপান আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য হিসেবে অন্তভূক্ত হন। বর্তমানে তিনি জাপান আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিন বলেন, আমি রাজনীতির মানুষ। স্কুল জীবন থেকেই আমি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।আমি কখনোই রাজনীতির বাহিরে ছিলাম না, কর্মের পাশাপাশি রাজনীতি করে আসছি। আমার ধারণা ছিল- আগে নিজে সাবলম্বী হতে হবে। আমি দুর্নীতিকে ঘৃণা করি। পরিশ্রম করে সফল হয়েছি। এখন এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি দলীয় মনোনয়নের একজন প্রার্থী। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নিরাশ করবেন না।
রাজনৈতিক পোস্ট নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত ভাবে কোন পোস্টের প্রতি আমার কোন চাহিদা নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার অবিভাবক। উনি যেটা ভালো মনে করবেন আমি সেটাই মেনে নেবো। আমি কোন পোস্ট চাই না, আমি চাই জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন একনিষ্ট কর্মী হয়ে সারা জীবন পাশে থেকে জনগনের কল্যানে কাজ করে যেতে।
কচুয়া উপজেলার সূশীল সমাজের মানুষের কাছে ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিন সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিন একজন মানবতা প্রেমিক মানুষ। তিনি সর্বদা চান সমাজের অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাতে। তিনি সবসময় মানুষদের সহযোগিতা করতে পছন্দ করেন। কচুয়া উপজেলাকে সুন্দর করে সাজাতে এবং একটি মডেল ও আধুনিক উপজেলা হিসেবে গঠন করতে ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিনের বিকল্প অন্য কাউকে আমাদের চোখে পড়ে না। তাই আমরা সকলে আশা করি দেশনেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশ্যই একজন দক্ষ্য, সৎ, সাহসী, জনবান্ধন ছাত্রনেতা বর্তমানে জাপান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিনকে তাঁর যোগ্যতম স্থানে বসাবেন।