জাপান আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

জাপান আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জাপান আওয়ামী লীগের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিন এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ পালন করেছে। জাতির পিতার ১০১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে জাপান আওয়ামী লীগ বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করে।


বুধবার (২৩ মার্চ) টোকিওর আকাবানে বিভিও হল প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন শুরু হয়। দিবসের কর্মসূচির দ্বিতীয় অংশ পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের মাধ্যমে শুরু হয়। এ সময় ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহিদ সদস্যদের ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের শান্তি ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও  মোনাজাত করা হয়। 


এরপর জাপান আওয়ামী লীগের সভাপতি জুলফিকার আলী জুলের তরফদার  এবং সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিন প্রধান জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বঙ্গবন্ধুর শুভ জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসের কেক কাটেন। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়।


এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাপান আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, কোষাধক্ষ মারুফা জাহান লিমা, ছাত্রলীগ কর্মী জওহার উল্লাহ বিন জহির , সিফাত জসীম, রাজিন জসীম, জাপানী অতিথি সহ প্রমুখ।


বঙ্গবন্ধুর মহতী জীবন ও কর্মের উপর বিশেষ আলোচনা পর্বে  জাপান আওয়ামী লীগের সভাপতি জুলফিকার আলী জুলের তরফদার তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা স্মরণ করেন।  তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃপ্ত পদক্ষেপে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান। 


সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিন প্রধান বলেন, ১৭ মার্চ, বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি স্মরণীয় দিন। এ বছর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তার আদর্শ আমাদের চিরন্তন প্রেরণার উৎস। তার নীতি ও আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে পড়–ক, গড়ে উঠুক সাহসী, ত্যাগী ও আদর্শবাদী নেতৃত্ব এ প্রত্যাশা করি।


তিনি আরও বলেন, ‘জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার প্রত্যয়ে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’