জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সবসময় মানবিক রাজনীতি করে: মোঃ ইদ্রিস ফরাজী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ইতালী আওয়ামী লীগের সভাপতি, শরিয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ ইদ্রিস ফরাজী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজ থেকে ৭২ বছর আগে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মানবিক রাজনীতি করে গিয়েছে এবং বিশেষ করে বাংলাদেশের যেকোনো বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় থেকে শুরু করে বাংলাদেশের যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে ছিল এবং এখনো আছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সত্তরের জলোচ্ছ্বাসে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে কিভাবে মানবিক রাজনীতিতে অবদান রেখেছে এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মানবিক সামাজিক রাজনীতি, মানবিক অর্থনৈতিক রাজনীতি ও পাশাপাশি মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে শুরু করে সবদিক থেকেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাজ করে গিয়েছে। আর বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৮৮ সালের ১৭ মে থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এই মানবিক রাজনীতি আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে। আমরা কিন্তু সব কিছু বঙ্গবন্ধুর পথ ধরেই এগিয়ে যাচ্ছি এবং সেই পথ ধরেই তার কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকে বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গিয়েছে। আজকে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের অহংকার। দক্ষিণ এশিয়াই জিডিপি গ্রোথ রেটে আজকে আমরা সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছি। আমরা গর বছরেও যেখানে উন্নত বিশ্বে জিডিপি নেগেটিভ ছিল সেখানেও আমরা জিডিপি ৪.২৪% বৃদ্ধি করেছি। গত ১২ বছরে দেশের যেমন উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে, তেমনি প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে। দারিদ্র্য কমেছে বহুলাংশে। ১২ বছর আগে আমরা বলতাম ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ বিনির্মাণ করব। জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ইতোমধ্যে ক্ষুধাকে জয় করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণপ্রায়, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নীত মধ্যম আয়ের দেশে। সব সূচকে আমরা অনেক আগেই পাকিস্তানকে ও বেশ অনেক সূচকে ভারতকেও অতিক্রম করেছি। দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতি, মানবসম্পদ, অবকাঠামো, নিরাপত্তা, রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে উন্নতির ছোঁয়া লাগেনি। শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণে কথা অস্বীকার করতে পারবে না কেউ। যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশ পদ্মাসেতুর মত মেগা প্রজেক্ট নির্মাণের কাজ হাতে নেয় যার যার কাজ এখন শেষ বললেই চলে। ২০২০ সালে মাত্র ২২টি দেশে ঋণাত্মক জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তারমধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয়। প্রায় সব দেশের রফতানি কমলেও আগের বছরের তুলনায় আমাদের রফতানি বেড়েছে, রেমিট্যান্স বেড়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে, জ্বালানি চাহিদাও বেড়েছে, যা অগ্রগতির প্রতীক। সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হয়েও ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ করোনা মহামারি মোকাবিলায় উপমহাদেশে সবচেয়ে সক্ষম এবং পৃথিবীতে ২০তম। এটা সম্ভব হয়েছে আমাদের মানবিক নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তার নেতৃত্বে দেশ এখন মানবিক বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে।