চাঁদপুর শহরে আসাদুজ্জামান সোহাগকে তুলে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ধূম্রজাল

চাঁদপুর শহরে আসাদুজ্জামান সোহাগকে তুলে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ধূম্রজাল

স্টাফ রিপোর্টারঃ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এ কে এম দিদারুল আলমসহ সঙ্গীয় ফোর্স জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মো. আসাদুজ্জামান সোহাগকে গাড়ীতে তুলে নিয়ে যাওয়ায় এলাকায় এক রকমের ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছ। ১ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে শহরের নতুনবাজার এলাকা হতে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

স্থানীয় লোকজন সাংবাদিকদের জানায়, ফেন্সিডিল ও ইয়াবা সেবন ও বিক্রির অভিযোগে মো. আসাদুজ্জামান সোহাগকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সোহাগ ধমকের সুরে কথা বলায় তাকে টেনে হিঁচড়ে বাইক থেকে নামানো হয়। এরপর বাকবিতন্ডা ও ধস্তাধস্তি হয় ওই কর্মকর্তাদের সাথে। তারপর তাকে মাদক বিক্রির অভিযোগ এনে গাড়ীতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ে। জানা যায়, মো. আসাদুজ্জামান সোহাগ চাঁদপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার (দপ্তর) মো. শাহজাহান গাজীর ছেলে।

এছাড়াও তিনি চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এলাকার পরিচিত মুখ। এছাড়াও সোহাগ এবারের অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনেও ১০নং ওয়ার্ডের সম্ভ্যাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছিলেন। এদিকে সোহাগের তুলে নিয়ে যাওয়ার ধূম্রজাল সৃষ্টি হওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের পরিষ্কার বক্তব্য দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এ কে এম দিদারুল আলম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, সোহাগের এক সুন্দরী বান্ধবী কুমিল্লার কসবায় থেকে মাদক বিক্রি করে। সোহাগ সেটি জানতে পেরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সরকারি সোর্স হবে এবং ওই বান্ধবীকে আইনের হাতে তুলে দিবে মর্মে প্রতিশ্রুতি দেয়।

আর এ কাজ করতে ওই সুন্দরীর থেকে মাদক কিনতে ৭৫ হাজার টাকা লাগবে বলে মাদকদ্রব্য কার্যালয়কে জানায়। পরে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরও সোহাগের চাহিদা অনুযায়ী মাদক কিনতে সোহাগকে ৭৫ হাজার টাকা দেয়। আর এই টাকাা নেওয়া শেষে সোহাগ ওই মাদক ব্যবসায়ীকে ধরতে কোনরূপ সাহায্য সহযোগিতা করছিলো না। বরং ওই সুন্দরী বান্ধবীর সাথে আরো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করে।পরবর্তীতে কাজ না করলে সরকারি ওই ৭৫ হাজার টাকা ফেরত দিতে বলা হলে সে নানা রকম টালবাহানা করতে থাকে। তিনি সাংবাদিকদের আরো জানান, আমরা সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনেছিলাম। পরে তার পিতা সরকারি টাকা ফেরত দিবে মর্মে মুচলেখা দিয়ে তার জিম্মায় ছেলেকে কার্যালয় থেকে বাড়ীতে নিয়ে যান। এর বাইরে অন্য কোন ঘটনা নেই।

এদিকে এ ঘটনায় মো. আসাদুজ্জামান সোহাগ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্মকর্তাদের এরূপ কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।তিনি সাংবাদিকদের জানান,আমাকে আসামীর মতো করে টেনে হিঁচড়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওরা আমার পাঞ্জাবি পর্যন্ত ছিড়ে ফেলেছে। আমি কোন আসামী না হওয়া সত্ত্বেও আমাকে যেভাবে গাড়ীতে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো। এতে আমার চরম অপমানবোধ ও মানহানী হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আমরা দ্রুতই পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত বসবো। সে পর্যন্ত এলাকাবাসীকে কোনরূপ বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।