ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিন সমাজ কল্যান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জসীম উদ্দিন সমাজ কল্যান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আজ শুক্রবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের ঘোষণা দিয়েছিল একটি ভূখণ্ড, যার নাম বাংলাদেশ। সবুজ জমিনে রক্তিম সূর্যখচিত মানচিত্রের এ দেশটির স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী আজ।


স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এ দিনটি বাংলাদেশের স্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বছরও। এবার তাই উদযাপনেও যোগ হয়েছে ভিন্ন মাত্রা। এর সাথে আর একটি নতুন পালক যোগ হয়েছে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ, জলবায়ু ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা যোগ্যতা নির্ধারণের তিনটি সূচকের ২০১৮ ও ২০২১ সালের মূল্যায়নে মান অর্জন করায় এলডিসি থেকে উত্তরণের সুপারিশ পায় বাংলাদেশ। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) সম্প্রতি এ সুপারিশ করেছে।


তারই অংশ হিসাবে কচুয়ায় ইঞ্জিনিয়ার জসীম উদ্দিন সমাজ কল্যান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে কচুয়ায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার সর্যোদয়ের সাথে সাথে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরনে উপজেলা পরিষদ চত্তরে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সৌধে ইঞ্জিনিয়ার জসিম উদ্দিন সমাজ কল্যান ফাউন্ডেশনের পক্ষ কচুয়া পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে পৌর বাজারে আনন্দ র‌্যালি বের করা হয়। আনন্দ র‌্যালি শেষে তালুকদার সুপার মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় কচুয়া বার্তার মিলনায়তনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।


কচুযার কৃতি সন্তান, মানবতার ফেরিওয়ালা জাপান আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার জসীম উদ্দিন প্রধান বলেন, ‘‘আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। এ বছর আমরা উদযাপন করছি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। এ উপলক্ষ্যে আমি দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ঐতিহাসিক এই দিনে আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অতর্কিতে নিরস্ত্র বাঙালির উপর আক্রমণ চালালে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপর দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সমর্থক, বিদেশি বন্ধু এবং সকল স্তরের জনগণকে, যাঁরা আমাদের অধিকার আদায় ও মুক্তিসংগ্রামে বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছেন। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু সবসময় রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ, গড় আয়ু বৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। দারিদ্র্যের হার কমছে। এক দশকে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে তিনগুণ। নিজস্ব অর্থায়নে নিমার্ণাধীন পদ্মাসেতু এখন পুরোপুরি দৃশ্যমান। মেট্রোরেল, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, কর্ণফুলী ট্যানেল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজও নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ শুধু দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশি দেশগুলোই নয়, অনেক উন্নত দেশকেও ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।’’


উল্লেখ, জাপান আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার জসীম উদ্দিন প্রধান একজন জাপানের সুনামধন্য বাক্তি, তিনি মাতৃভূমি কচুয়াকে অত্যন্ত ভালোবাসেন, তার দিবারাত্রি চিন্তা চেতনায় কিভাবে কচুয়ার মানুষের মুখে হাসি ফুটানো যায়। তাই প্রতিষ্ঠা করেন কচুয়ায় ইঞ্জিনিয়ার জসীম উদিন সমাজ কল্যান ফাউন্ডেশনের।