বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সামনে রেখে সুদূরপ্রসারি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা: মোঃ ইদ্রিস ফরাজী
সিনিয়র রিপোর্টার, ঢাকাঃ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ইতালী আওয়ামী লীগের সভাপতি, শরিয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ ইদ্রিস ফরাজী বলেন, আজকের এই দিনে আমি আমার বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধা জানাই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যে মহামানবের অবদানে আজ আমরা লাল সবুজের পতাকা নিয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছি, গভীর শ্রদ্ধা সাথে স্মরণ করছি ১৫ আগস্টের সেই কালো রাতে তার পরিবারের যেসব সদস্যরা শাহাদাতবরণ করেছিলেন। গভীর শ্রদ্ধা সাথে স্মরণ করছি ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ ইজ্জত হারা মা বোনদের। গভীরভাবে স্মরণ করি জাতীয় ৪ নেতাকে। শত সংকট আর সম্ভাবনায় শেখ হাসিনাই বাংলার মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের শেষ ঠিকানা। যখনই এ দেশের গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়ছে, তখনই রক্ষাকবচ হয়ে গণতন্ত্র রক্ষায় ঢাল হিসেবে সামনে দাঁড়িয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এ দেশের মুক্তিকামী, আপামর জনতা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার রাজনীতিতে আসা এবং পথচলা কোনোটাই ঝুঁকিমুক্ত নয়। ১৯৭৫ সালে তার বিদেশে অবস্থানকালে তিনি পিতা-মাতা-ভাই-ভাবীসহ স্বজনহারা হন। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে এখন পর্যন্ত তারা বাংলাদেশের রাজনীতিকে মুক্তিযুদ্ধের বিপরীত ধারায় চালানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জাতির পিতাকে হত্যার তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে জেলখানার নিরাপদ কক্ষে যুদ্ধকালীন সরকারে নেতৃত্বদানকারী অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ, মন্ত্রী এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় নেতাদের হত্যার ২১ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশে ফিরে আসতে না পারলে এ দেশে রাজনীতিতে নিষ্ঠুর-নৈরাজ্য বিরাজ করত। অগণতান্ত্রিক সরকার অতীতের মতো দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার সুযোগ করে নিত। কিন্তু তারপরও থেমে থাকেনি ষড়যন্ত্রের রাজনীতি। শুরু হয় নতুন ষড়যন্ত্র। শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য হাজির করা হয় ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’র নামে মূলত মাইনার ওয়ান ফর্মুলা। শত সংকট আর সম্ভাবনায় শেখ হাসিনাই বাংলার মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের শেষ ঠিকানা। যখনই এ দেশের গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়ছে, তখনই রক্ষাকবচ হয়ে গণতন্ত্র রক্ষায় ঢাল হিসেবে সামনে দাঁড়িয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এ দেশের মুক্তিকামী, আপামর জনতা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিকল্প নেই।