যা কিছু অর্জন আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার হাত ধরে: মোঃ ইদ্রিস ফরাজী

যা কিছু অর্জন আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার হাত ধরে: মোঃ ইদ্রিস ফরাজী
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাংলাদেশে যা কিছু অর্জন তার সবই আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার হাত ধরে। আওয়ামী লীগ আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা এক ও অভিন্ন। একটিকে বাদ দিয়ে আরেকটির কথা চিন্তা করা যায় না। বঙ্গবন্ধুর জীবনী লিখলে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং আওয়ামী লীগের ইতিহাস চলে আসে। ২৩ জুন, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধশালী প্রাচীনতম সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলাপচারিতায় একথাগুলোই বলছিলেন ইতালী আওয়ামী লীগের সভাপতি, শরিয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ ইদ্রিস ফরাজী।

ইতালী আওয়ামী লীগের সভাপতি, শরিয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ ইদ্রিস ফরাজী বলেন, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পাকিস্তানের দুঃশাসন-বৈষম্যমূলক অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুসলিম লীগের প্রগতিশীল নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা করেন। যার প্রথম সভাপতি ছিলেন, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শামসুল হক। বঙ্গবন্ধু তখন জেলে, জেলে থাকা অবস্থায়ই তাঁকে প্রথম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক করা হয়। জেলে থাকা অবস্থায় ভাষা আন্দোলনের সমর্থন দেন। শামসুল হক সাহেব অসুস্থ হলে বঙ্গবন্ধু ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৩ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু। কৌশলগত কারণে প্রতিষ্ঠাকালে সংগঠনের নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। সকল ধর্মের মানুষ যাতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে পারে সে কথা চিন্তা করে ১৯৫৫ সালে বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে, পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ করা হয়। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৫২'র ভাষা আন্দোলন, ৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে আওয়ামী লীগ থেকে সমর্থন দিয়েছিলো, আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলো ছাত্রলীগ।  

প্রতিষ্ঠাতাবার্ষিকীতে উপলক্ষে আমি মনে করি, বাংলাদেশে যা কিছু অর্জন আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার হাত ধরে। আওয়ামী লীগ এদেশের জনগণের চোখের ভাষা বোঝে। আওয়ামী লীগের দেশের জনগণকে নিয়ে কাজ করে, জনগণের জন্য রাজনীতি করে। বঙ্গবন্ধু মানুষের মনের ভাষা, চোখের  ভাষা বুঝতেন। মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাও আওয়ামী লীগকে জনগণের আওয়ামী লীগ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার প্রমাণ পাওয়া যায়, এই করোনার মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিজেদের জীবনকে তুচ্ছ করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমাদের জাতীয় নেতা মোহাম্মদ নাসিম, আবদুল  মতিন খসরু, সিলেটের সাবেক মেয়র কামরান, সাহারা খাতুনসহ প্রায় সাড়ে ৪শ থেকে ৫শ নেতাকর্মীর মৃত্যুবরণ করেছেন। 

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সারা দেশে লাখ লাখ মানুষকে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। এখনও আওয়ামী লীগের ত্রাণ উপকমিটি প্রতিটি মুহূর্ত কাজ করে চলছে। আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মি হিসেবে গর্ববোধ করি। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। আওয়ামী লীগ বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বঙ্গবন্ধুর তনয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।