বঙ্গবন্ধুর অবদানের কারণে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে: মোঃ ইদ্রিস ফরাজী

সিনিয়র রিপোর্টার, ঢাকাঃ

বঙ্গবন্ধুর অবদানের কারণে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে: মোঃ ইদ্রিস ফরাজী
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ইতালী আওয়ামী লীগের সভাপতি, শরিয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ ইদ্রিস ফরাজী বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। আগস্ট মাসটা ষড়যন্ত্রের মাস। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রায় সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। আবার ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে এক ভয়ংকর গ্রেনেড হামলায় জাতির পিতার রক্ত রাজনীতির অধিকারী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা করে পুরো একটি রাজনৈতিক দলকে নিঃশেষ করে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছে। আবার ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে যেভাবে ভয়ংকর সিরিজ বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। এইগুলো তো আর এমনে এমনেই হয়নি, প্রত্যেকটার পেছনে একটি ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র কাজ করেছে। এই কথাও বাজি ধরে বলা যায় যে, এই সব ষড়যন্ত্রের সুতো একটির সাথে আরেকটি নিভিড়ভাবে জড়িত। আজকে আমি আলোচনার শুরুতেই এই ষড়যন্ত্রের মূল খুঁজে বের করা এবং এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর খুব কাছে লোক ছিলেন খন্দকার মোশতাক।  বঙ্গবন্ধুকে যিনি সোনার বটবৃক্ষ উপহার দিয়ে বলেছিলেন যে আপনাকে নৌকা দিয়ে ছোট করতে চাই না, আপনি হচ্ছেন আমাদের কাছে বটবৃক্ষের মতো। যিনি শেখ জামাল এবং শেখ কামালের উকিল বাবা হয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুর বাবা মায়ের মৃত্যুতে তিনি সব থেকে বেশি কান্নাকাটি করেছিলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর আগের দিনও হাঁসের মাংস দিয়ে ভাত খায়েছিলেন তাকে সেই খন্দকার মোশতাকই কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূল হত্যাকারী। বঙ্গবন্ধুর হত্যার মূল পরিকল্পনায় যে মোশতাক ছিলেন, তা স্পষ্ট হয় ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের পরপরই। ওইদিনই মোশতাক নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সূর্যসন্তান বলে আখ্যায়িত করেন। ক্ষমতায় বসে ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মোশতাক ইমডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ স্লোগান চালু করেন। তার শাসনামলেই চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মো. মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা করা হয়। কারাবন্দি করা হয় আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মীকে। অবশ্য এত কিছুর পরও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেননি মোশতাক। এখন আমাদের কাছে মনে হচ্ছে খন্দকার মোশতাককে একটি সুখণ্ডি হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছিল যার মূল বেনিফিসিয়ারি ছিল তার পেছনে আরেকটি চক্র। এরাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে বাংলাদেশে নিজেদের রাম রাজত্ব কায়েম করেছিল। সামনে ছিল খন্দকার মোশতাক, কিন্তু এর পেছনে একটি ভয়ংকর দেশি ও বিদেশি চক্র কাজ করেছিল তখন।