দুর্গাপুরে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মুলক মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন

দুর্গাপুরে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মুলক মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন
ছবি: নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্গাপুর প্রতিনিধি : রাজশাহীর দুর্গাপুরে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অপহরন মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে ন্যায় বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার বিকেলে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, দুর্গাপুর উপজেলার ক্ষিদ্র লক্ষিপুর গ্রামের আব্দুল করিমের মেয়ে মরিয়ম বেগমের সাথে একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে খাইরুল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ কারনে গত ৪ বছর আগে উপজেলার মাড়িয়া গ্রামে মেয়ের বিয়ে দেন মরিয়ম বেগমের বাবা। কিন্তু খাইরুলের সাথে মরিয়মের প্রেমের সম্পর্ক আগের মতোই ছিলো। তাদের প্রেমের সম্পর্ক এতোটাই গভীর ছিলো যে, গত ১ জুন মরিয়ম তার স্বামী আলতাব হোসনকে তালাক দেয় এবং তালাকের বিষয়টি গোপন রাখে। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর মরিয়ম তার স্বামীর বাড়ি ছেড়ে প্রেমিক খাইরুলের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। এর একদিন পরে আদালতে এফিডেবিট করে খাইরুলকে বিয়ে করে মরিয়ম। মাত্র ১৩ দিন খাইরুলের সাথে সংসার করার পর মরিয়ম তার আগের স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনে পুণরায় যোগাযোগ শুরু করে। এক পর্যায়ে মরিয়ম খাইরুলের সাথে সংসার না করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তার বাবার বাড়িতে তাকে রেখে আসতে বলে। খাইরুল মরিয়মকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি খাইরুলের। মরিয়ম তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরতে চাইলেও তার বাবা মা তাকে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করে।

এক পর্যায়ে মরিয়ম তার আগের স্বামীর কাছে ফিরতে চাইলে তার সেই স্বামীও তাকে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করে। বাধ্য হয়ে খাইরুল ও তার পরিবারের লোকজন থানা পুলিশের সহযোগীতা কামনা করে। এরপর থানায় বসে মরিয়মের বাবা-মাকে ডেকে মরিয়মকে তাদের জিম্মায় দেয় পুলিশ। হঠাৎ গত ২৭ সেপ্টেম্বর মরিয়মের বাবা আব্দুল করিম বাদী হয়ে খাইরুল সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামী করে তার মেয়ে মরিয়মকে অপহরণ করা হয়েছে মর্মে দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করে। এরপর থেকেই মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মুলক মামলার আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন খাইরুল।

মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মুলক মামলা প্রত্যাহার ও ন্যায় বিচার চেয়ে মঙ্গলবার দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন খাইরুলের স্বজনরা। এ সময় তারা বলেন, তাদের অব্যাহত হুমকী-ধামকি দেয়া হচ্ছে। মামলা উঠিয়ে নেয়ার নামে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হচ্ছে তাদের কাছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খাইরুলের বাবা মজিবুর রহমান, মা কিরণ বেগম ও মামা কাবিল উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খাইরুলের মামা কাবিল উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে মামলার সুষ্ঠ তদন্ত ও ন্যায় বিচার কামনা করেছেন তারা।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খুরশীদা বানু কণা বলেন, মরিয়ম থানায় এসে তার দেনমোহরের দেড় লাখ টাকা আদায় করে দিতে বললে আমি বলি দেনমোহরের টাকা উঠিয়ে দিতে পারবোনা তবে আইনী সহায়তা দিতে পারবো। এরপর মরিয়মের বাবা থানায় এসে তার মেয়েকে অপহরন করা হয়েছে মর্মে লিখিত অভিযোগ দিলে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রজ্জু করেছি। এখন তদন্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।