জালালাবাদ এসোসিয়েশন নাপলি ইতালি শাখার উদ্যোগে ঈদুল আযহার জামায়াত অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টারঃ

জালালাবাদ এসোসিয়েশন নাপলি ইতালি শাখার উদ্যোগে ঈদুল আযহার জামায়াত অনুষ্ঠিত
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ


ত্যাগের মহিমা ও পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের নিমিত্তে জালালাবাদ এসোসিয়েশন নাপলি ইতালি শাখার উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা।


ফজরের নামাজ আদায়ের পরপরই দল বেঁধে ঈদের জামায়াতে অংশ নিতে ঈদগাহ ময়দানের উদ্দেশে রওনা হন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।


সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে জালালাবাদ এসোসিয়েশন নাপলি শাখার সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমানের ইমামতিতে জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। 


এসময় উপস্থিত ছিলেন, জালালাবাদ এসোসিয়েশন নাপলি শাখার প্রধান উপদেষ্ঠা আব্দুল্লাহ আল মনসুর ওয়েছ, সভাপতি সরফ উদ্দীন, ইতালী শাখার সহ সভাপতি গৌছ উদ্দীন, নাপলি শাখার সিঃ সহ সভাপতি আব্দুস শুক্কুর আব্দুল্লাহ, সহ সভাপতি ছানু মিয়া, সহ সভাপতি খোকন উদ্দীন, সহ সভাপতি জসিম উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল খালিক, অর্থ সম্পাদক বুলবুল আহমদ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মমিন উল্লাহ মামুন, দফতর সম্পাদক জাহেদ আহমদ, সাহিত্য সম্পাদক জাফর আহমদ, সাংস্কূতি সম্পাদক মিলুমিয়া সহ প্রায় আড়াইশত মুসল্লি জামায়াতে অংশ গ্রহণ করেন।


নামাজ শেষে সদ্য প্রয়াত সানজুসেপ্পে প্রবাসী মরহুম জুয়েল আহমদ ও জালালাবাদ এসোসিয়েশন নাপলি শাখার সহ সভাপতি মরহুম নাজমুল ইসলাম এর আত্নার মাগফেরাত কামনা ৷ দেশ এবং প্রবাসী সবাই ও মুসলিম উম্মাহের শান্তি ও কল্যাণে দোয়া করা হয় ৷


নামাজ শেষে চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী একে অপরের সঙ্গে কুলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এই ঈদ সমগ্র বিশ্বে মুসলমানদের ত্যাগ, আত্মসমর্পণের শিক্ষা দেয়। তাই এ দিনকে কোরবানির ঈদও বলা হয়।


অনাবিল আনন্দে ভাসছে ইতালির প্রবাসী মুসলিম বঙ্গালী নারী-পুরুষ, শিশুসহ আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা। ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর এই দিনে আল্লাহর নবী হযরত ইব্রাহিম (আ.) এবং পুত্র ইসমাঈল (আ.) এর মহান স্মৃতিকে স্মরণ করছেন সবাই। ঈদুল আজহার সালাত শেষে পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছা ও ভালবাসা বিনিময় করবেন মুসলিমরা। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করবেন পশু কোরবানি।


ঈদুল আজহা মুসলিম মিল্লাতের পিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও তার ছেলে হযরত ইসমাঈল (আ.) এর সঙ্গে সম্পর্কিত। হযরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে ছেলে ইসমাইলকে আল্লাহর শানে কোরবানি করতে গিয়েছিলেন। আসলে আল্লাহর পক্ষ থেকে এই আদেশ ছিল হযরত ইব্রাহিমের জন্য পরীক্ষা।


তিনি ছেলেকে জবাই করার সব প্রস্তুতি নিয়ে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। ফলে সঙ্গে সঙ্গে ছেলে ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কুরবানি করার নির্দেশ আসে আল্লাহর পক্ষ থেকে।


সেই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতি ধারণ করেই হযরত ইব্রাহিম (আ.) এর সুন্নত হিসেবে পশু জবাইয়ের মধ্য দিয়ে কুরবানির বিধান এসেছে ইসলামি শরিয়তে।


এজন্য প্রতি বছর সামর্থ্যবানরা পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন।